কক্সবাজার প্রতিনিধি: অবশেষে রূপ বদলাতে যাচ্ছে কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড় থেকে হাশেমিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত সড়ক। দীর্ঘ ৪০ বছর অবহেলায় থাকা এলাকাবাসীর স্বপ্নের ওই সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ১৫-২০ অক্টোবরের মধ্যে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের(কউক) চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ এলডিএমসি।
ফোরকান আহমদ জানিয়েছেন, হলিডের মোড় থেকে হাশেমিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত ৫০ ফুট প্রস্থের প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জানা যায়, মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এই সড়কটি প্রশস্তকরণ ও সংস্কারের জন্য তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি প্রকল্প ফাইল জমা দেন লে.কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ। ওই সময় প্রকল্পটিতে ২৯৮ কোটি ১৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। পরে ২০১৮ সালে একনেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির অনুমোদন দেন। কিন্তু নানা জটিলতায় ওই সড়কটি এতদিন চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি।
চেয়ারম্যানের নিরলস পরিশ্রম ও একান্ত প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুভাগে সড়কটির অনুমোদন দেন। তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে চলতি মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে শহরের হলিডের মোড় থেকে হাশেমিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রথম ধাপের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
কউক জানায়, ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার অংশে হবে এই সংস্কার ও প্রশস্তকরণের কাজ। হলিডে মোড় থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত প্রশস্ত করা হবে এই সড়কটির। সড়কের প্রশস্তকরণের পাশাপাশি দুপাশে পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাথ, ফুটওভার ব্রিজ, ড্রেন, ব্রিজ-কালভার্ট, সাইকেলওয়ে নির্মাণ করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া সড়কে সবুজায়ন, দুপাশে সড়কবাতি ও সিসি ক্যামেরা এবং ওয়াইফাই সংযোগ থাকবে বলে জানা গেছে।
কউক চেয়ারম্যান বলেন, হলিডে মোড় থেকে হাশেমিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রধান সড়কের প্রথম পর্যায়ের কাজ ১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। হাশেমিয়া মাদ্রাসা থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজে কিছু প্রেসেসিং বাকি আছে। এগুলো কাটিয়ে উঠলে সেটাও শুরু হবে শিগগির। এখন যে প্রথম পর্যায়ের কাজ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেটির কার্যাদেশ দেওয়া হবে। কার্যাদেশ দেওয়ার পরপরই নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ছিল দীর্ঘ যুগ ধরে। কিন্তু সড়কটি মানুষের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ালে কউক চেয়ারম্যান সড়কটির উন্নয়নের জন্য একটি হাই প্রোফাইল তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। এরপর অনুমোদন না হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে সড়ক বিভাগ ওই সড়কটি কউককে হস্তান্তর করে। এরপর নানা জটিলতায় পড়লে সড়কটির কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু কউক চেয়ারম্যান সড়কটি চলাচলের উপযোগীর জন্য একাধিক বার সংস্কার করেন।